বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপ থেকে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যেতে চাইলে ৩৭.১ ওভারের মধ্যে ২৯২ রান করতে হবে- এটা জানাই ছিল। যেখানে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে ২৯১ রান করেছে শ্রীলঙ্কা, সেখানে এই টার্গেট তো আফগানিস্তানের জন্য অসম্ভব ব্যাপার। এই অসম্ভব টার্গেট তাড়ায় নেমে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে সেই লক্ষ্যের দূয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। শেষ মুহূর্তে একটি হিসেব না জানায় সুযোগ থাকার পরও তারা কোয়ালিফাই করতে পারল না! বেঁধে দেওয়া ৩৭.১ ওভারের মধ্যে আফগানিস্তান করেছিল ২৮৯ রান।
ওই ওভারের প্রথম বলে আউট হয়ে যান মুজিব উর রহমান। আগের ঘোষণা মতো আফগানরা বাদ। কিন্তু রান তাড়ায় আফগানিস্তান যে গতিতে ব্যাটিং করেছে, তাতে জন্ম হয় আরও একটি সমীকরণের। ৩৭.৪ ওভারের মধ্যে তাদের ২৯৫ রান করতে হতো! তার মানে পরবর্তী তিন বলে একটা চার মারলেই হতো! উইকেটে রুদ্র মেজাজে ছিলেন রশিদ খান।
কিন্তু স্ট্রাইকে থাকা ফজলহক ফারুকি নিজে বড় শট খেলা কিংবা রশিদকে স্ট্রাইক দেওয়ার কোনো চেষ্টাই করলেন না! ওভারের চতুর্থ বলে ফারুকী এলবিডব্লিউ হলে ২৮৯ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ২ রানের পরাজয়ে বিদায় নেয় এশিয়া কাপ থেকে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, আফগান দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্টের কাজটা কী! তিনি কি নিজে জানতেন এই সমীকরণ? মাঠে থাকা দুই ব্যাটারকে কি তিনি জানানোর চেষ্টা করেছিলেন? প্রশ্নগুলোর জবাবা সম্ভবত ‘না’। ফারুকী বা রশিদ এই সমীকরণ জানলে ওভাবে সময় নষ্ট করতেন না। সূত্র : কালের কন্ঠ