ঋণ পেতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশের রিজার্ভ সংরক্ষণের হিসাব পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি। এদিকে, পূর্ব-অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শর্ত মানতে পারলে এমন শর্ত দেশের জন্য হিতকর বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বলছেন, আর্থিক দূরবস্থার মধ্যে ঋণের অর্থ সতর্ক হয়ে খরচ করতে হবে।
গেল কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট। রেকর্ড ভেঙেছে টাকার সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার। ঝুঁকিতে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ব্যয়ের ভারসাম্য। সংকট সামলাতেই আইএমএফের কাছে ৪৫০ কোটি অর্থাৎ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ। তবে এবার বাংলাদেশের রিজার্ভ সংরক্ষণের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঋণ দাতা সংস্থাটি।
বলছে, রিজার্ভের প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য তহবিল প্রকাশের কথা। সংস্থাটির কথামতো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের হিসাব করলে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন এবং বাংলাদেশ বিমান, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়া শ্রীলংকাকে ঋণ মিলিয়ে ৮ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্থাটির এমন শর্ত দেশের অর্থনৈতিক খাতকে আরো পরিপক্ক করে তুলবে। আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিজেদেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত বলেও মনে করেন তারা। আর্থিক অনটনের মধ্যে আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত ঋণ খরচেও সতর্ক থাকার পরামর্শ অর্থনৈতিক-বিশ্লেষকদের। এর আগে একাধিকবার আইএমএফ-এর কাছ থেকে ঋণ নিলেও তা কখনো ১০০ কোটি ডলারের সীমা পার হয়নি। সূত্র : বাংলা ভিশন টিভি