নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৯শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইলন মাস্ককে জাতিসংঘ ও ইইউর তোপ

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৪:০৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৪:১২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইলন মাস্ককে জাতিসংঘ ও ইইউর তোপ

ওয়াশিংটন ডিসি: টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ছয় খ্যাতনামা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তাঁর পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলার অভিযোগ এনে তাঁদের টুইটার থেকে বাদ দেন মাস্ক। এরপর গতকাল শুক্রবার তাঁর কড়া সমালোচনা করে জাতিসংঘ ও ইইউ।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ধরনের সতর্ক করা ছাড়াই সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। গত ২৭ অক্টোবর মাস্ক কোম্পানিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর এ ঘটনায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

ইইউ কমিশনার ভেরা জোরোভা এক টুইটে বলেন, ও টুইটার থেকে সাংবাদিকদের স্বেচ্ছাচারী কায়দায় বাদ দেওয়ার খবর উদ্বেগজনক। ইউরোপীয় আইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। ইইউ কমিশনার বলেন, ‘ইলন মাস্কের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। চূড়ান্ত সীমা আছে; এবং নিষেধাজ্ঞাও, খুব শিগগির।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেছেন, এটি এই সময়ে বিপজ্জনক নজির, যখন সারা বিশ্বে সাংবাদিকেরা সেন্সরশিপ, শারীরিক হুমকিসহ আরও খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন।

সব শেষ এই বিতর্ক শুরু হয় মাস্ক গত বুধবার ‘ইলনজেট’ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিলে। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হতো।

মাস্ক বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে তাঁর সন্তানদের একজনকে বহনকারী গাড়িকে ‘এক বেপরোয়া উত্ত্যক্তকারী অনুসরণ করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল। মাস্ক এ ঘটনার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের গতিবিধি নজর রাখাকে দায়ী করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ইলনজেট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়াসহ ঘটনাটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন কয়েকজন সাংবাদিক। বিষয়টিকে তিনি ও তাঁর পরিবারকে ‘গুপ্তহত্যায় অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার’ শামিল বলে মন্তব্য করেন মাস্ক।

এ নিয়ে টুইটারে এক লাইভে নিজের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি মাস্ক। তবে তিনি বলেন, কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সমান চোখে দেখা হবে। সাংবাদিক বলে তাঁরা বিশেষ কেউ নন।

এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। একই সঙ্গে টুইটারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টিও সামনে আনে। গত এক দশকে সাংবাদিকতার জন্য টুইটার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

শেয়ার করুন