যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়ার উদ্বোধনের সাধারণ দৃশ্য। ১১ এপ্রিল ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর সদর দপ্তরে। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন ১৭ দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া মহড়াটি শেষ হবে ২৮ এপ্রিল। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে শুরু হওয়া এই মহড়ায় প্রথমবারের মতো লাইভ-ফাইয়ার বা অনেকটা বাস্তব যুদ্ধের আদলে অনুশীলন চালাবে ফিলিপাইন।বালিকাতন ২০২৩’ নামের এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১২ হাজার ২০০ এবং ফিলিপাইনের ৫ হাজার ৪০০ সেনা অংশ নিচ্ছেন। মহড়ায় ফিলিপাইনের সেনাদের উভচর হামলার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অন্য প্রশিক্ষণের মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান কীভাবে চালাতে হয়, তা অনুশীলন করাও চলতি মহড়ার বিশেষ উদ্দেশ্য।
রুশ গণমাধ্যম আরটি জানায়, বালিকাতন সামরিক মহড়া ১৯৯১ সাল থেকে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশ দুটির মধ্যে ১৯৫১ সালে হওয়া প্রতিরক্ষা প্যাক্টের আলোকেই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়া উপলক্ষে ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মাইকেল লজিকো মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বালিকাতন ২০২৩ মহড়ার বিশেষ দিক হলো এবার প্রথমবারের মতো লাইভ-ফাইয়ার অনুশীলন করবে ফিলিপাইন। তা ছাড়া জাম্বালেস দ্বীপের উপকূলে ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর একটি পরিত্যক্ত জাহাজে হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়ার বিরোধিতা করে মঙ্গলবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ বিক্ষোভ করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের লোগো ও প্রতীকীতে রঙ ঢেলে দেয়। বিক্ষোভ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাইওয়ানের চারপাশে চীনের তিন দিনব্যাপী সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার এক দিন পর যৌথ মহড়া শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিরোধিতা করে ওই মহড়া চালায় চীন।
কারণ তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে বেইজিং। শান্তিপূর্ণভাবে না পারলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে দ্বীপটি নিজেদের দখলে নেওয়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ঘোষিত উদ্দেশ্য। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে ফিলিপাইনের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ রয়েছে। তাই চীনকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলে ফিলিপাইন। এ অবস্থায় চলতি মাসে আরও ৪টি অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি করার অনুমতি দিয়েছে ফিলিপাইন। তবে সেসব ঘাঁটি ‘কোনো দেশের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ব্যবহার করা হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। সূত্র : আরটি
এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়