ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ক্রেমলিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন তাঁর ভাষণে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ার গণভোটের ফলাফলে দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এবং আপনারা জানেন ফলাফল কী? জনগণ তাদের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে এবং এটি একটি নির্ধারণী ঘোষণা।’
পুতিন আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে ফেডারেল অ্যাসেম্বলি রাশিয়ান ফেডারেশনের চারটি নতুন অঞ্চলকে সংযুক্তকরণের বিষয়টি অনুমোদন করবে কারণ এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের ইচ্ছা।’ এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিতরা পুতিনের বক্তব্যকে বিপুল করতালিতে স্বাগত জানান।
এদিকে, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল সম্প্রতি গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার বিষয়ে রায় দেয়। এসব অঞ্চলের নিরাপত্তার বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে যুক্ত করার অংশ হিসেবে এমন কিছু এলাকাকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে যা এখনো রাশিয়ার সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে আসেনি।’ এ সময় তিনি জানান, এসব অঞ্চলের ওপর হামলা রাশিয়ার ওপর হামলা বলেই বিবেচিত হবে।
এ ছাড়া এসব অঞ্চলের সীমান্ত নির্ধারণের বিষয়ে দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের সীমান্ত যে অবস্থানে ছিল সেই সীমানাই এসব অঞ্চলের সীমান্ত বলে বিবেচিত হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া এসব অঞ্চলের সীমান্ত নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও দেশটি নির্ধারিত সীমান্ত পর্যন্ত এখনো নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারেনি। তবে রাশিয়া জানিয়েছে—তাঁরা ২০১৪ সালের সীমান্তকেই এসব অঞ্চলের সীমান্ত বলে গ্রহণ করবে। তবে জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনের সীমান্তের ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো।
দিমিত্রি পেশকভ বলেন, ‘রাশিয়া দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের সীমান্তকেই গ্রহণ করেছে। তবে জাপোরিঝিয়া এবং খেরসনের বিষয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার করা উচিত যে, এই বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
পরিচয়/সোহেল