রাশিয়ার সঙ্গে শস্য চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বন্দর থেকে আরও তিনটি শস্যবাহী জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে গেছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাহাজ তিনটি স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউক্রেনের দুটি বন্দর ছেড়ে গেছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ দুটি শস্যবাহী জাহাজ ক্রনোমরোস্কো বন্দর থেকে এবং আরেকটি জাহাজ ওদেসা বন্দর থেকে প্রায় ৫৮ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে যাত্রা করেছে।
পানামার পতাকাবাহী নাভিস্তার নামের জাহাজটি আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে ৩৩ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে ওদেসা থেকে রওনা হয়েছে। অন্যদিকে মাল্টার পতাকাবাহী রোজেন নামের জাহাজ ১৩ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে ক্রনোমরোস্কো বন্দর থেকে ব্রিটেনের উদ্দেশে এবং তুর্কি পতাকাবাহী জাহাজ পোলারনেট ১২ হাজার টন ভুট্টা নিয়ে একই বন্দর থেকে তুরস্কের কারাসু বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনের বন্দর কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। এরপর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে শস্য চুক্তি হলে গত সোমবার প্রথম শস্যবাহী জাহাজটি ওদেসা বন্দর ছেড়ে যায়।
জাহাজ তিনটি যাত্রা শুরু করার পর ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী আলেক্সান্ডার কুব্রাকভ ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাব এবং কাজ চালিয়ে যেতে পারব। আমাদের বন্দর থেকে শস্য রপ্তানির প্রক্রিয়া স্থিতিশীল হবে এবং বাজার স্থিতিশীল হবে বলেও আশা রাখি।’
পাঁচ মাস আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের শস্যের চালান বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে বলে তখন সতর্কবার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ। তারপর জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শস্য রপ্তানির বিষয়ে একটি বিরল কূটনৈতিক চুক্তি হয়।
এদিকে ওদেসার আঞ্চলিক প্রশাসন জানিয়েছে, লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী তুরস্কের ওসপ্রে এস জাহাজটি আজ শুক্রবার ইউক্রেনের ক্রনোমরোস্কো বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুদ্ধের সময়ে ইউক্রেনের কোনো বন্দরে পৌঁছা এটিই হবে প্রথম কোনো জাহাজ।