নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ  | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবারো তাইওয়ান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০১:৩৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০১:৩৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
আবারো তাইওয়ান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ

চীনের সঙ্গে তীব্র কূটনৈতিক উত্তেজনার মাঝে তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি কানাডিয়ান ফ্রিগেট। গতকাল মঙ্গলবার এ রুটিন ট্রানজিট পরিচালিত হয় বলে জানায় দুই দেশের সামরিক বাহিনী। খবর রয়টার্স।

এক মাসের মধ্যে এ প্রণালী দিয়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর দ্বিতীয় ট্রানজিট। এ ছাড়া এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দ্বিতীয় যৌথ ট্রানজিট। সর্বশেষটি হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে।এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে চীন বলেছে, তাদের বাহিনী জাহাজগুলোকে সতর্ক করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো মিত্র দেশগুলো নিয়মিতভাবে এ জলপথ দিয়ে ট্রানজিট করছে। এ নিয়ে বরাবরই চীন ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বলেছে, তাদের আরলে বার্ক-শ্রেণির গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার হিগিন্স এবং রয়্যাল কানাডিয়ান নেভির হ্যালিফ্যাক্স-শ্রেণির ফ্রিগেট ভ্যাঙ্কুভার ওই করিডোর দিয়ে ট্রানজিট পরিচালনা করেছে, যা কোনো উপকূলীয় ভূখণ্ডের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমার বাইরে। কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় জাতি হিসেবে তার দেশ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এক প্রতিক্রিয়ায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ও কানাডিয়ান জাহাজগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে এবং সতর্ক করেছে। এ বাহিনী সব হুমকি ও উস্কানি মোকাবেলা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করে আসছে। তাইওয়ান বলেছে, তারা এ মিশন পর্যবেক্ষণ করেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।

গত আগস্টের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর চীনকে ক্ষুব্ধ করেছিল। এরপরই তাইওয়ান প্রণালীতে বড় আকারের সামরিক মহড়ার আয়োজন করে চীন। কাছাকাছি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের একটি দল তাইপে সফর করে।

বেইজিং বরবারই স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। তবে তাইপে জোরালোভাবে এর বিরোধিতা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে এক চীন নীতিকে সমর্থন করলেও তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার্থে অস্ত্র দিয়ে আসছে। সম্প্রতি বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণাও দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের যেকোনো আক্রমণ থেকে তাইওয়ানকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

পরিচয়/সোহেল

শেয়ার করুন