পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সক্রিয় অগ্নেয়গিরি হাওয়াই দ্বীপের মাওনা লোয়ারে প্রায় ৪০ বছর পর অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় আগ্নেয়গিরিটি থেকে লাভার উদগিরণ শুরু হয়। ইতোমধ্যে সেখানে স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানা ধরনের সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খবর: বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এখন পর্যন্ত অগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের আশেপাশে লাভা প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়দের এ বিষয়ে ‘সতর্ক’ থাকতে বলা হয়েছে। এটিই এর সর্বোচ্চ সতর্কবার্তা। তবে এখনও বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’ তবে স্থানীয়দের অগ্নেয়গিরির উত্তপ্ত ছাইয়ের ঝুঁকি থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সাগরপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ৬৭৯ ফুট উঁচু ও প্রায় ৫ হাজার ১৭৯ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাওনা লোয়া অগ্নেয়গিরি হাওয়াই দ্বীপের প্রায় অর্ধেক। কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে এখনও বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
আগ্নেয়গিরি বিষয়ক ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ ও হাওয়াই ভলকানো অবজারভেটরিতে কর্মরত ড. জেসিকা জনসন বলেন, ‘লাভার স্রোত হিলো ও কোনা শহরের বাসিন্দাদের জীবনকে ভয়াবহ হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এমন উত্তপ্ত লাভা শহরের অবকাঠামো ও প্রকৃতি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে উদগিরিত বিষাক্ত গ্যাস ও ছাইয়ের কারণে শ্বাসকষ্টে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।’
১৯৮৪ সালে মাওনা লেয়ারে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। সে সময় লাভার প্রবাহ দ্বীপের সবচেয়ে জনবহুল হিলো শহরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছিল। এর আগে ১৮৪৩ সালের পর মাওনা লোয়ায় ৩৩ বার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে।