আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের আহমেদ। দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে সকাল সাড়ে ১০টায় মোনাজাত শেষ হয়েছে।
এর আগে আজ ফজর নামাজের পর থেকে বয়ান শুরু হয়। বয়ান শুরু করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। তার বয়ানের পরই হেদায়েতি বয়ান হওয়ার কথা রয়েছে। মাওলানা ইবরাহিম দেওলা হেদায়েতি বয়ান করেন। এরপর হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের শুরা সদস্য ক্বারী মোহাম্মদ জুবায়ের।
ভোর থেকেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে ইজতেমা ময়দানে। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে গাজীপুর এবং রাজধা ও এর আশপাশ এলাকার লাখ লাখ মানুষ আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসেন। তবে ময়দানে জায়গা না পেয়ে যে যেখানে পারেন দাঁড়িয়ে-বসে মোনাজাতে অংশ নেন।
কারোনা মহামারির সময় পেরিয়ে একত্রে আবারও সমবেত হতে পারায় মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন বারবার। তাদের মধ্যে নেই ভেদাভেদ ও বৈষম্য।
সরেজমিন দেখা গেছে, ভোর ৪টা থেকে মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। অনেক মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন।
আখেরি মোনাজাতে নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সাদা পোশাকে মুসল্লিদের বেশে পুলিশ মোতায়েনসহ ১০ হাজার পুলিশ ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় রয়েছে। তারা আখেরি মোনাজাতের পর মুসল্লিদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত থাকবে। খুব দ্রুত ও নিরাপদে মুসল্লিরা যেন ময়দান ত্যাগ করতে পারে সে জন্য বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি। মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন