নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিবাসী ঠেকাতে উপকূলে ড্রোন ও ক্যামেরা বসাচ্ছে ফ্রান্স

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
অভিবাসী ঠেকাতে উপকূলে ড্রোন ও ক্যামেরা বসাচ্ছে ফ্রান্স

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যমুখী অভিবাসন স্রোত ঠেকাতে উপকূলে নজরদারি বাড়াতে ড্রোন ও ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। বেশ কয়েক মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

আগামী তিন মাস উত্তর ফ্রান্স উপকূলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় মারিতিম প্রেফেকচুর। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ড্রোনসহ নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি স্থানীয় দৈনিক লা ভোয়া দ্যু নর্দকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের

প্রেফেকচুর আরও জানায়, সোমবার থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য ড্রোন, টহল হেলিকপ্টার, একটি টহল বিমান ও ৭৬টি ক্যামেরা একযোগে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ফিক্সড-উইং ড্রোনগুলো ফরাসি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন।

এই ড্রোন সিস্টেমের মূল মিশন হবে উদ্ধার ও নজরদারি বিষয়ক আঞ্চলিক ফরাসি দপ্তরকে (ক্রস) সহায়তা করা। ঝুঁকিতে থাকা নৌকাগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা এবং অভিবাসী নৌকার মিথ্যা উপস্থিতি সম্পর্কে সন্দেহ দূর করার কাজে ব্যবহার হবে ড্রোনগুলো। বর্তমানে ফরাসি উপকূলে উদ্ধার অভিযানের জন্য কর্তৃপক্ষের ছয়টি উদ্ধার জাহাজ সক্রিয় রয়েছে।

উত্তর ফ্রান্সের কালেসহ বিভিন্ন উপকূল থেকে ব্রিটেনের দিকে যাত্রা করা অনিয়মিত অভিবাসন থামানোর লক্ষ্যে চলমান লড়াইকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নতুন এই নজরদারি ড্রোন ও ক্যামেরার মাধ্যমে ফরাসি বর্ডার পুলিশ, ডিপার্টমেন্টাল পাবলিক সিকিউরিটি ডিরেক্টরেট এবং পুলিশের জেন্ডারমেরি শাখা উত্তর ফ্রান্সের শহুরে এলাকার বাইরে ও ভেতরের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে।

এর সাহায্যে মানবপাচার এবং সীমান্তের অনিয়মিত পারাপারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে চায় সরকার। ২০২২ সালে প্রায় ৮০ হাজার অভিবাসী চ্যানেল অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন।

ফ্রান্সে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ড্রোনের ব্যবহার সাধারণত বিভিন্ন বিচার বিভাগীয় ডিক্রির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই ডিক্রির শর্তা অনুসারে, উন্মুক্ত স্থানে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির নিরাপত্তার ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে ড্রোন দিয়ে ভিডিও করতে বৈধ কারণ থাকতে হবে।

একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত এটি চালিয়ে যেতে পারবে। তবে বেশ কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে এটি নবায়নের সুযোগ রয়েছে।

২০১৮ সাল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হিসাব রাখতে শুরু করেছে ব্রিটেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি অভিবাসী এই ভয়ঙ্কর অভিবাসন রুট পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন।

শেয়ার করুন