এবারের সোসাইটির নির্বাচনে ভোটার তালিকা নিয়ে ভোট গ্রহণের দিনও প্রতিটি কেন্দ্র অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দ ও পোলিং অফিসারগণ। নির্বাচনের দিন স সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁদেরই। ভোটার হওয়ার আবেদন করা অনেকে ভোট দিতে এসে নামে, জন্মতারিখে এবং ঠিকানায় ভুলের কারণে ভোটই প্রদান করতে পারেন নি। নির্বাচন কমিশন উপরোক্ত তিনটি আইটেমের মধ্যে মাত্র একটিতে অসঙ্গতির কারণে ‘ওয়েভার’ দিয়েছেন অর্থাত্ ভোট প্রদান করার সুযোগ দিয়েছেন।
এছাড়া লাইফ মেম্বারদের ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। দুটি কেন্দ্র দুইজন লাইফ মেম্বার তাদের লাইফ মেমারশীপের আইডি কার্ড নিয়ে আসলেও ভোটার তালিকায় তাদের নামই ছিলনা।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সেলিম-আলী প্যানেলের পক্ষ থেকেও ভোটার তালিকা নিয়ে নির্বাচনের পুর্বেই সাংবাদিক সম্মলেনর মাধ্যমে অনেক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছিল।
চাঁদা পরিশোধ এবং সদস্যপদের ফরম পুরণ করার পরও ভোটার তালিকায় নাম উঠেনি এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে অনেক। এমনকি সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন জানিয়েছেন তাঁর একজন নিকটজন চাঁদা পরিশোধের রসিদ থাকা সত্ত্বেও ভোটার তালিকায় নাম উঠেনি। সেই রসিদের অনুলিপি তিনি পরিচয় এর কাছে পাঠিয়েছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ নওশাদ হোসেন জানান, ভোটার তালিকা প্রস্তুত কিংবা সংশোধন কার্যক্রমের সাথে তাঁর কোন সম্পৃক্ততাই ছিলনা। নওশাদ হোসেন বলেন, সোসাইটির সভাপতি আবদুর রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাতের সম্মতিতে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার কাজটি করেছে সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ। ভোটার তালিকায় ভুলভ্রান্তির ব্যাপারে তাঁর কোন দায় নেই জানিয়ে নওশাদ হোসেন বলেন তিনি নির্বাচনের পুর্বে ভোটার তালিকা নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চেয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচন সঙ্কটাপন্ন হতে পারে এই অজুহাতে সংগঠনের হাইকম্যান্ড তাঁকে কথা বলতে দেয়নি। নওশাদ হোসেন বলেন, এখন নির্বাচন শেষ। ভোটার তালিকা নিয়ে এতো অভিযোগের তদন্ত করা হোক যাতে ভবিষ্যতে এমন সমস্যায় আর পড়তে না হয়। সোসাইটির বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীও বলেন, আগেও রিজু মোহাম্মদের মাধ্যমে সোসাইটির ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং সেজন্যই কোন প্রকার দরপত্র আহবান না করে এবারও তাঁকেই ভোটার তালিকা প্রনয়নের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু এতো ভুলভ্রান্তি হবে ধারণার বাইরে ছিল। তবে ভবিষ্যতের স্বার্থে তদন্তের মাধ্যমে সঙ্কটের কারণ বের করতে তিনিও সম্মত আছেন। তবে সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে কার্যকরী পরিষদের সম্মতির উপর।
ভোটার উপস্থিতি ছিল কম: সোসাাইটির নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায় এবারের নির্বাচনে ভোটারর উপস্থিতি ছিলো অনেক কম। কেননা, এই নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী আর বিজিত প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান গড় দেড়/দুই হাজার। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৫,৪৯৪। এই ভোট পেয়েছেন সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন দেওয়ান। বিপুল সংখ্যক ভোটার নির্বাচনে ভোটদানে অংশ নেননি। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অভিমমত, যেভাবে ভোটার বানানো হয়েছে, সেভাবে ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে প্রার্থীরা ব্যর্থ হয়েছেন। তবে ১৮ হাজারের বেশী ভোটারের মধ্যে দুই প্যানেল মিলে ৫টি কেন্দ্রে মাত্র ৮ থেকে ৯ হাজার ভোটারের উপস্থিতি অনেককেই হতাশ করেছে।