নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা!

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০২:৪৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০২:৪৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা!

বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ব্যবহারকারী নিয়ে টিকটক অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ বড় আইনি লড়াই চলছে। বিশেষ করে, চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটককে নিষিদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত টিকটকের আবেদন খারিজ করেছে, যার ফলে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার পথ আরো সুগম হয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, একটি আদালত টিকটকের আইনি লড়াইয়ের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এর আগে, এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস একটি আইন পাস করেছিল, যা টিকটককে বাইটড্যান্স থেকে বিক্রি করে। মার্কিন সরকার চিন্তা করছে যে, চীনা সরকার টিকটক ব্যবহারকারীদের তথ্য নিয়ে খোঁজখবর নিতে পারে। যদিও টিকটক তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, তারা চীনা সরকারের কাছে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করবে না।

বৈশ্বিক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি, টিকটক, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক বড় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মার্কিন রাজনীতিবিদরা দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে এই আইনটি পাস করেছেন, যাতে বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি করে দেয় বা তা নিষিদ্ধ করা হয়। তাদের দাবি, চীনা সরকার টিকটকের মাধ্যমে মার্কিন ১৭০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য গ্রহণ করতে পারে।

এপ্রিল মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওই বিলটিতে সই করেন, যা টিকটককে বাইতড্যান্স থেকে বিক্রি করার জন্য সময়সীমা দেয়। তবে এর মধ্যে বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে টিকটক চেষ্টা করে যাচ্ছে এই আইনটিকে বাতিল করতে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেন, কারণ তিনি বলেছিলেন যে টিকটক নিষিদ্ধ করা ফেসবুককে অনৈতিকভাবে লাভবান করবে।

টিকটক বন্ধ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হবে অ্যাপ স্টোর থেকে টিকটক সরিয়ে ফেলা, যেমনটি অ্যাপল ও গুগলের আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে নতুন ব্যবহারকারীরা টিকটক ডাউনলোড করতে পারবেন না এবং যারা ইতিমধ্যেই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তারা নতুন আপডেট বা সিকিউরিটি ফিচার পাবে না।এই আইনে বলা হয়েছে, যে কোনো শত্রু দেশের অ্যাপকে যুক্তরাষ্ট্রে আপডেট করা যাবে না।টিকটক এই আইনকে “অসাংবিধানিক” হিসেবে দাবি করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত। এর বিরুদ্ধে তারা ইউএস সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে। টিকটক প্রধান শু ঝি চিউ বলেছেন, “আমরা কোথাও যাচ্ছি না”।

বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো যুক্তরাষ্ট্রেও টিকটক নিষিদ্ধ করা হতে পারে। বর্তমানে ভারত, ইরান, নেপাল, আফগানিস্তান এবং সোমালিয়ায় টিকটক নিষিদ্ধ রয়েছে। ইউরোপীয় কমিশন ও যুক্তরাজ্য সরকারও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে টিকটককে সরকারি ফোন থেকে মুছে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে।এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, টিকটকের ভবিষ্যত যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজারে অনিশ্চিত। তথ্যসূত্র : বিবিসি

শেয়ার করুন