গত ২২ অক্টোবর দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় রুহুল-জাহিদ প্যানেলের পক্ষ থেকে। সেই সাংবদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার রূপ রেখা এবং নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন রুহুল-জাহিদ প্যানেলের পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সভাপতি প্রার্থী রুহুল আমিন সিদ্দিকী, জে মোল্লা সানি, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, মোহাম্মদ টি মোল্লা, এম বাসেত রহমান, শাহাদাত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসাইন ও বদরুল হক আজাদ প্রমূখ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ মিন্টু এই রূপরেথা তুলে ধরে বলেন, আমরা যদি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটে জয়লাভ করি, তাহলে বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমরা যদি পরাজিতও হই তাহলেও এই প্রজেক্ট আমরা বাস্তবায়ন করবো যারা জয়ী হবেন তাদের সহযোগিতায়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা ৫ মিলিয়ন ডলার বাজেট করেছি। আমাদের প্যানেল থেকে আমরা অর্থ দেবো, সোসাইটির ব্যাংক একাউন্টে অর্থ আছে, তা নিয়ে যাত্রা শুরু করবো। আবার অনেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা এবং কম্যুনিটির বিশিষ্ট জনদের কাছে যাবো এবং সবার সহযোগিতায় এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবো। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান ভবন বিক্রি করার কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সদস্যরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহারে যা বলা হয়েছে- ১. প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন ‘বাংলাদেশ কমপ্লেক্স’। আমরা শুধু একটি ভবন চাই না, চাই বাংলাদেশ কমপ্লেক্স। যেটা হবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সকল কর্মকাÐের কেন্দ্রবিন্দু। থাকবে অফিসসহ সার্বক্ষণিক হেল্প ডেক্স, পার্কিং লটসহ কয়েক শত আসনের অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম। ইতিমধ্যেই এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে রুহুল-জাহিদ পরিষদ তাদের কর্মকান্ড শুরু করেছেন। ২. অনলাইনে নতুন সদস্য গ্রহণ এবং সদস্য পদ নবায়ণের ব্যবস্থা করা। ৩. প্রবাসীদের দেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, কন্স্যুলেটের মাধ্যমে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) প্রদান, নিউইয়র্ক -ঢাকা- নিউইয়র্ক রুটে বাংলাদেশ বিমান চালু, দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সম্পত্তি রক্ষা। ৪. প্রবাসী বাংলাদেশীদের ইমিগ্রেশন সমস্যা ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ সব সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভ‚মিকা রাখা ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা। ৫. নতুন প্রজন্মের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা। নতুন প্রজন্মকে যদি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করা যায়, তাহলে তাদের মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করা যাবে। ৬. বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইমিগ্রেশন, মাদক এবং মানষিক সমস্যা সক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে নিয়মিত সেমিনারের ব্যবস্থা করা।