রিজার্ভের সংকট কাটাতে সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি, কৃচ্ছ্র সাধন এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এতসবের পরেও রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েই চলছে। এমনকি গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ কমে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। আজ বুধবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এটিই গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার ডলারের পরিমাণ ছিল ৩৭ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেশগুলোর জুলাই-আগস্ট সময়ের জন্য ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন পরিশোধ করায় রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ১৩ বিলিয়নে নেমে আসে। অথচ গত বছর ২৫ আগস্ট আগস্ট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক ৬০ বিলিয়ন। সেই হিসাবে ১ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত কোন দেশের ৩ মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য রিজার্ভ থাকলে তা আদর্শ ধরা হয়। আমাদের বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এ ছাড়া সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি ও কৃচ্ছ্র সাধন নীতি ঘোষণা করছে। এতে আমদানি কমতে শুরু করেছে। আবার রপ্তানি আয় বাড়ছে। পাশাপাশি সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর করোনার পরে গত দেড় বছরে জনসংখ্যা রপ্তানি বেড়েছে। যার ফলে সামনে রেমিট্যান্স সংগ্রহ আরও বেড়ে যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে গত জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে আমদানির ক্ষেত্রে এলসি (ঋণপত্র) নিষ্পত্তি কমেছে ২৫ শতাংশ। আগস্টে এলসি বাবদ পরিশোধ হয়েছে ৫ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪২ বিলিয়ন। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন, ফেব্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন, মার্চে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন, এপ্রিলে ৬ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন, মে মাসে ৭ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ও জুনে ৭ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্র ডলার। সূএ : আজকের পত্রিকা
পরিচয়/সোহেল