তাইওয়ানের চারদিকে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি’র তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই মহড়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি। এটি হতে যাচ্ছে সমুদ্রে চীনের ইতিহাসের সবথেকে বড় সামরিক মহড়া। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় গোলা ছুঁড়ে এই মহড়া শুরু হয়। তাইওয়ানের ১২ মাইলের মধ্যে প্রবেশ করে মহড়া করছে দেশটি। চীনের এমন আগ্রাসী আচরণের নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
এর আগে বুধবার তাইওয়ানে খুব অল্প সময়ের এক সফরে যান পেলোসি। এ নিয়ে চটেছে চীন। দেশটি তাইওয়ানকে নিজের অংশ মনে করে। পেলোসির এই সফরকে চীন তাই স্বার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। তবে একইসঙ্গে তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘপাল্লার গোলা ছোড়া হবে এই মহড়া থেকে। মহড়ার জন্য ব্যস্ত জলপথকে বেছে নিয়েছে দেশটি।
তাইওয়ান বলছে, চীনের এই মহড়ার কারণে তারা আকাশ, ভূমি ও সাগরে অবরুদ্ধ হয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রও এই মহড়ার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। যদিও তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী সহজেই পাল্টা হামলা চালাবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এমন কঠিন উস্কানিতে যুদ্ধ লেগে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিশ্লেষক বনি লিন বলেন, চীন যদি তাইওয়ানের উপর দিয়ে যুদ্ধবিমান পাঠায় তাহলে তাইওয়ান সেটিকে ধ্বংস করে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এরপর পরিস্থিতি কী হবে তা কেউ বলতে পারে না।