ইউক্রেনের আরও এলাকা দখলে নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের প্রথমে শুধু ডনবাস অঞ্চল দখলে নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও দেশটির ভৌগলিক লক্ষ্য এখন আরও বড়। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলো যত দূরপাল্লার অস্ত্র দেবে, রাশিয়ার আগ্রাসন তত জোরালো হবে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, রুশ টেলিভিশন আরটি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারির কথা তুলে ধরেন ল্যাভরভ। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো দূরপাল্লার রকেট ও কামান সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়ার কারণে রাশিয়া এ যুদ্ধের ভৌগলিক লক্ষ্য এরই মধ্যে পূর্বের ডনবাস ছাড়িয়ে দক্ষিণের খেরসন এবং জাপোরোৎজিয়া অঞ্চলে প্রসারিত করেছে। এর মানে হচ্ছে, ডনবাসের বাইরেও আরো এলাকা দখলের লক্ষ্য হাতে নিয়েছে রাশিয়া। এরপক্ষে ল্যাভরভ যুক্তি দেন যে, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকা থেকে পশ্চিমা এসব দূরপাল্লার অস্ত্র যাতে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হুমকি তৈরি না করতে পারে সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খুব স্পষ্ট করে ইউক্রেনকে নাৎসীমুক্ত এবং সেনামুক্ত করার কথা বলেছেন, যাতে আমাদের নিরাপত্তা হুমকিতে না পড়ে। ইউক্রেনের ভেতর থেকে কোনো সামরিক হুমকি তৈরি হলে, আমাদের সে লক্ষ্য অর্জনের কাজ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, মার্চের শেষে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি স্থাপনে যখন কথাবার্তা হয়েছিল তখনকার চেয়ে রণাঙ্গনের বাস্তব পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। ভৌগলিক লক্ষ্য এখন অনেক আলাদা।এই লক্ষ্য এখন দনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখন এটির লক্ষ্য খেরসন অঞ্চল, জাপোরোৎজিয়া এবং আরো বেশি কিছু এলাকা। ইউক্রেনের নতুন নতুন এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, পশ্চিমারা অক্ষম ক্রোধের বশবর্তী হয়ে ইউক্রেনকে হিমার্সের মত দূরপাল্লার অস্ত্র জুগিয়ে চলেছে। কিন্তু এটি উল্টো রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের রণাঙ্গন ইউক্রেনের আরো ভেতরে নিয়ে যাবে। জেলেনস্কি বা তার বদলে ভবিষ্যতে যিনি ক্ষমতায় আসুক না কেন ইউক্রেনকে দেয়া এসব পশ্চিমা অস্ত্র রাশিয়া, লুহানস্ক এবং দনেতস্কের জন্য হুমকি হয়েই থাকবে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।