গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইতে। প্রবাসীরা এ মাসে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
গত সোমবার (১ আগস্ট) রেমিট্যান্সের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানা গেলো এ তথ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের এই অঙ্ক গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
রেমিট্যান্স নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রপ্তানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে রেমিট্যান্স। যা অত্যন্ত ভালো লক্ষণ।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হুন্ডিতে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন।
হুন্ডিতে টাকা পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখনো হুন্ডি আছে। আমাদের কাছেও তথ্য আছে এখনো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা-পয়সা আসে। যেন কম আসে সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি।
কি পরিমাণ হুন্ডিতে টাকা আসে সেটির কোনো পরিসংখ্যান আছে কি না জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারণা নেই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে প্রায় ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি সেই ধারাবাহিকতা এখনো আছে। প্রবাসীদের শুধু প্রণোদনা নয় স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।