গত ১২ সেপ্টেম্বর ররররর জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত তেলের রিজার্ভ ৮০ লাখ ব্যারেল কমে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৮৪ সালের অক্টোবরের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জি৭ দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা। এই প্রচেষ্টায় একত্রিত হওয়ার জন্য ভারতকেও আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে রাশিয়া এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে মস্কো ভারতে তেল আমদানিতে বিশাল ছাড় ঘোষণা করেছে।
প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে রাশিয়ান তেলের মূল্য নির্ধারণ ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধের তহবিলের উত্সকে আঘাত করবে। এছাড়াও, এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রকে দ্রুত বর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জি৭ গ্রুপের সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সূত্রের খবর রাশিয়া তার অপরিশোধিত তেল বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযানে ব্যবহার করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকাসহ পশ্চিমা সব দেশই কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। রাশিয়ার ওপর বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন তিনি। কিন্তু রাশিয়া, এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: রয়টার্স।
পরিচয়/সোহেল