যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত চূড়ান্ত সংশোধিত তথ্যে দেখা গেছে, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ০.৬ শতাংশ কমেছে। তা ছাড়া, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি ১.৬ শতাংশ হ্রাস পায়, তার মানে সেদেশের অর্থনীতির টানা দুই প্রান্তিক ধরে পতন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা নেড ডেভিড রিসার্চ বলছে, বিশ্বজুড়ে মন্দার আশঙ্কা ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ। এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, ‘এর অর্থ হচ্ছে, ২০২৩ সালে মন্দার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে।’ এর আগে ২০২০ সালে যখন বিশ্বজুড়ে লকডাউন ও নানা বিধিনিষেধ ছিল, তখনো নেড ডেভিসের পূর্বাভাস এমনটাই বেশি ছিল। এ ছাড়া ২০০৮-০৯ সালের আর্থিক মন্দার সময়ও তাদের সম্ভাব্যতার মডেলের স্কোর এমনটাই ছিল।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১০টি অর্থনীতির মধ্যে অন্তত সাতটি অর্থনীতি মনে করে, বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা আছে। অর্থনীতিবিদেরা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করেছেন এবং তাদের ধারণা, মূল্যস্ফীতি-সমন্বিত মজুরি চলতি বছরের বাকি সময় ও আগামী বছর হ্রাস পাবে।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৩ দশমিক ২ শতাংশ; অথচ এপ্রিল মাসেই তাদের পূর্বাভাস ছিল ৫ শতাংশ। সূত্র: সিএনএন।
পরিচয়/সোহেল