সবচেয়ে বেশি বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের খেতাব রয়েছে জো বাইডেনের ঝুলিতে। ৭৯ বছর বয়সেও যুক্তরাষ্ট্রের মসনদ দিব্যি সামলাচ্ছেন এই দুঁদে রাজনীতিবিদ। তবে বয়সের কারণেই হোক আর বেখেয়ালেই হোক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে অল্পদিনের শাসনকালে প্রায়ই নাকাল হয়েছেন তিনি। এবার ফের তার এক মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শিক্ষক ইউনিয়ন ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনে শুক্রবার বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বাইডেন। এসময় ভিড়ের মধ্যে এক নারীকে দেখে বক্তব্য থামিয়ে দেন তিনি। বাইডেনকে দেখে মনে হয় তিনি ওই নারীকে চিনতে পেরেছেন।
বাইডেনের পরের কথায় অবশ্য ওই নারীকে চিনতে পারার প্রমাণও মেলে। প্রসঙ্গ থেকে সরে এসে তিনি বলেন, অনেক দিন আগের কথা। তার (মেয়েটির) ছিল ১২ বছর আর আমার ৩০ বছর। এই নারী আমাকে অনেক ভয়ংকর কাজ করতে সাহায্য করেছে। কোন বিষয়ে উল্লেখ করেছেন তা বলেননি বাইডেন। অবশ্য বাইডেনের ওই কথা শুনে উপস্থিতরা হেসে উঠেন বলে নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাইডেনের এই মন্তব্য ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বেশ কয়েকজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার মন্তব্যকে বিরক্তিকর বলে মনে করেছেন। যদিও কিছু ব্যবহারকারী তাকে ‘অদ্ভূত’ বলে অভিহিত করেছেন। বাকিরা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না যে বাইডেন আসলে কি বোঝাতে চেয়েছিলেন।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই ধরনের খাপছাড়া আচরণ এই প্রথম নয়। বুধবার নিউইয়র্কে গ্লোবাল ফান্ডের সপ্তম রিপ্লেনিশমেন্ট সম্মেলনে বক্তব্য শেষ করে মঞ্চেই পথ ভুল করে বসেন বাইডেন। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বক্তব্য শেষে হ্যান্ডশেক করার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু তার সামনে কেউই ছিল না।
চলতি বছরের জুলাইতে ন্যাটো সম্মেলনেও এক কেলেঙ্কারি ঘটান বাইডেন। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে সুইডেনের বদলে ভুলে সুইটজারল্যান্ড বলে ফেলেন বাইডেন। ওই ঘটনার কয়েকদিন আগেই সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। আর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে থুতনিতে ডিমের কুসুম লাগিয়েই হাজির হন বাইডেন।
পরিচয়/সোহেল