মিয়ানমারে সেনাশাসকদের ন্যাশনাল ডিফেন্স ও সিকিউরিটি কাউন্সিল একমত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মিয়ানমারের সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, সেনাশাসকরা জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাশাসকরা। তারপর থেকে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
জরুরি অবস্থায় সেনা ও পুলিশের হাতে বাড়তি ক্ষমতা থাকে। তারা যে কোনো মানুষকে বন্দি করতে পারে এবং তাকে আটক করে রাখতে পারে।
সরকারের দাবি, দেশে স্থায়িত্ব আনার জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো দরকার। সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মিডিয়া এমআরটিভি-কে জানানো হয়েছে, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে মানানসই পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন সংগঠনে তাই পরিবর্তন দরকার। মানুষকে নতুন নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে। তাই এই সময়টা জরুরি অবস্থার মধ্যে রাখা হচ্ছে মিয়ানমারকে।
একশোর বেশি গ্রামে আগুন-
অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ‘ডাটা ফর মিয়ানমার’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে জানিয়েছে, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একশোর বেশি গ্রাম পুরোপুরি বা আংশিক পুড়িয়ে দিয়েছে৷ গতবছরের অভ্যুত্থানের বিরোধীদের দমাতে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি বেসামরিক ভবন পোড়ানো হয়েছে৷
গত সপ্তাহে সেনাশাসকরা চারজন বিক্ষোভকারীকে ফাঁসি দিয়েছে। তিন দশকের মধ্যে প্রথমবার চারজনকে ফাঁসি দেয়া হলো। সেনা অভ্যুত্থানের পর দুই হাজার একশ বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস জানিয়েছে।
এদিকে সেনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য জাপানের এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে। গত শনিবার ইয়াঙ্গন থেকে তাকে আটক করা হয়। জাপান দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আটক করে রাখা জাপানের ওই নাগরিকের বয়স ২০-র কোঠায়।
(এপি, এএফপি, রয়টার্স)