বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হারের মারাত্মক বৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেড ডেভিস রিসার্চ দ্বারা পরিচালিত একটি সম্ভাব্য মডেল অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২০ সালের অর্থনৈতিক অবস্থা ও ২০০৮-২০০৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও একই ধরনের পূর্বাভাস ছিল।
নেড ডেভিস রিসার্চের অর্থনীতিবিদরা গত শুক্রবার একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, মূলত ২০২৩ সালের কিছু সময়ের জন্য বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারীরা হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বরবুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের জরিপকৃত ১০ জন অর্থনীতিবিদদের মধ্যে সাতজন বৈশ্বিক মন্দাকে অন্তত কিছুটা সম্ভাবনা বলে মনে করেন। এদিকে অর্থনীতিবিদরা তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়ে আনছেন।
তাছাড়া খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বাড়ার কারণে যেমন মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাবে তেমন অস্থিরতাও বাড়বে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অর্থনীতিবিদদের ৭৯ শতাংশ মনে করেন এমন পরিস্থিতিতে ধনী দেশগুলোর তুলনায় নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে সামাজিক অস্থিরতা বেশি দেখা যাবে।
পরিচয়/টিএ