শক্তির তুলনায় লঙ্কানদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দল নামিবিয়া। ক্রিকেটে শ্রীলংকার বর্নাঢ্য ইসিহাসের সামনে নামিবিয়া যথারীতি পুঁচকে। আর সেই নামিবিয়াই বিশ্বকাপ মঞ্চে হারিয়ে দিল শ্রীলংকাকে! প্রথম ম্যাচেই অঘটন! এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে ৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। তাও ৭ বল হাতে রেখেই। দুই ইনিংসেই বাঘের মতো লড়াই করেছে নামিবিয়া। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়টাই ছিল নামিবিয়ার দখলে।
রোববার সকালে কার্দিয়ান পার্কে টসে হেরে ব্যাটিং পায় নামিবিয়া। শুরুতে লঙ্কান পেসারদের বল সেভাবে বুঝে উঠতে পারেনি দলটি। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। পরে শেষ দিকে জাদু দেখান ইয়ান ফ্রাইলিংক ও জেজে স্মিথ। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শ্রীলংকার সামনে ১৬৪ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় নামিবিয়া। আর সেই লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে শ্রীলংকা।
শুরুতেই নামিবিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে লংকান টপঅর্ডারের চারজন। ২১ রানেই ৩ উইকেট হারায় তারা। ধনাঞ্জয়া চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান করেন তারা। এরপর ভানুকা রাজাপাকশে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা দলকে টেনে নিতে থাকেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২১ বলে ২০ রান করে ফিরেছেন রাজাপাকসে। ১৪ তম ওভারে ফ্রাইলিংকের শেষ বলে ২৩ বলে ২৯ রান করে ধরাশায়ী হন অধিনায়ক দাসুন শানাকাও।
এ দুজনের আউটের পর বাকিরা দুই অংকের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ১০০ রানও সংগ্রহ করতে পারবে না শ্রীলংকা। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউট হয়ে ফেরেন মাধুশানে। পরের ওভারে করুণারত্নেকে ফেরান স্কোল্টজ। এরই সঙ্গে জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় নামিবিয়ার। কারণ ৯১ রানে ৮ উইকেটে হারিয়ে যখন দিশেহারা লঙ্কানরা, তখন জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ছিল ৩০ বলে ৭৩ রানের।
১৮তম ওভারের ৪র্থ বলে ফ্রাইলিংককে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় ১০০ রান পার করেন থিকসানা। ওই ওভারে ৯ রান এলে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১২ বলে ৫৮ রানের। হাতে মাত্র ১টি উইকেট।শেষ ওভার আর খেলতে পারল না শ্রীলংকা। ১৯তম ওভারে ডেভিড ওয়াইজির শেষ বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন চামিরা। ফলে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে গেছে লংকানরা।