যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফ্লোরিডায় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টনের’ আঘাতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঝড়ের আঘাতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এছাড়া ঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রায় নিয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। তবে মিল্টনের প্রভাবে উঁচু ঢেউয়ের যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা কেটে গেছে।
বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার গর্ভনর রন ডিনাস্তিস বলেন, বড় ধরনের বিপদে থেকে এ রাজ্যের বাসিন্দারা উতরে গেছেন। তবে অনেক স্থানে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন মিল্টন। ফলে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের ফলে টাম্পা উপকূলীয় এলাকায় যে উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটিও হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মেয়রকাস হোয়াইট হাউজ ব্রিফিংয়ে বলেন, সরকার হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ১৬ জন নিহতের খবর পেয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে টর্নেডোর কারণে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ফ্লোরিডায় ১৯টি টর্নেডো আঘাত হানে। এছাড়া ওইদিন সব মিলিয়ে এ রাজ্যের মধ্য এবং পূর্বাঞ্চলে মোট ৪৫টি টর্নেডো হয়। ন্যাশনাল আবহাওয়া সার্ভিস এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩০ লাখ বাড়িঘর এবং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে এ রাজ্যে আঘাত হানা হারিকেন হেলেনের পর কেউ কেউ বিদ্যুৎ পাবেন এমন আশা করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই আবার মিল্টনের আঘাত।
উপকূলীয় এলাকা টাম্পাতে হারিকেল মিল্টনের আঘাতে অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে, বিদ্যুতের লাইন এবং ধ্বংসস্তূপের কারণে রাস্তাঘাট আটকে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ অঞ্চলের মেয়র জেন কাস্টর এক নিউজ কনফারেন্সে বলেন, কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
সূত্র: রয়টার্স