পরকীয়ার ঘটনায় হাতে নাতে ধরা পড়েছেন ফোবানার সংগঠক ও সাবেক এক কনেভনার, যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার রাজনীতিবিদ জসিম উদ্দিন যিনি বর্তমানে জশউদ্দিন নামে পরিচিত এবং আটলান্টা নিবাসী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হাসান এর স্ত্রী এমা তানজিম। গত ২২ আগষ্ট আটলান্টায় সাজ্জাদ হাসান এর বাসভবনে জশউদ্দিন এবং এমা তানজিমকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় আবিস্কার করেন এমা তান জিমের স্বামী সাজ্জাদ হাসান। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরেই এমা ও জশ এর অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে সন্দেহ হয়। এদের দুজনকে হাতে নাতে ধরার জন্য একাধিক কৌশল অবলম্বন করেন সাজ্জাদ।
ঘটনার দিন সাজ্জাদ তার গ্যারেজে লুকিয়ে থেকে রিমোট অবস্থান থেকে জশউদ্দিন আর এমার প্রণয়ের দৃশ্য ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনকে হাতে নাতে ধরার আগে কয়েকজন বন্ধুকে ডেকে আনেন, পুলিশ এবং জশ এর স্ত্রী ফারজানা জাফরিনকে ফোন করেন। হাতেনাতে ধরার পর জশউদ্দিন দ্রুত সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হলেও উপস্থিত সকলে পরকীয়ার বিশেষ রুপ প্রত্যক্ষ করেন।
পরে পুলিশের কাছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এমা তানজিম তার অবৈধ প্রণয়ের কথা স্বীকার করেন এবং পুলিশ এমাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় বলে জানান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন।
এব্যাপারে উভয় পরিবারের পারিবারিক বন্ধু আটলান্টা নিবাসী ফোবানার কর্মকর্তা ডিউক খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুইজনে একসাথে নাশতা করছিলেন মাত্র। ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা বলা হচ্ছে।
উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠেদর সুত্র জানা গেছে জশউদ্দিন ও সাজ্জাদ হাসান এর পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অনেকদিনের। ধীরে ধীরে অবৈধ প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠে জশউদ্দিন ও এমা তানজিমের মধ্যে। রিয়েল এষ্টেট পেশায় সম্পৃক্ত হওয়ার পর জশ ও এমার ঘনিষ্ঠতা আরো বৃদ্ধি পায়। এদিকে জশউদ্দিন ও এমা তানজিমের পরকীয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর আচলান্টার বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।