কোনো গ্রাহক কলড্রপের ক্ষতিগ্রস্ত হলে এখন থেকে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ পাবেন। অর্থাৎ একই অপারেটরে কল করার (অননেট) ক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে কলড্রপ হলে গ্রাহক মিনিট হিসাবে ৩০ সেকেন্ড ফেরত পাবেন। যা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। ইতোমধ্যে বিটিআরসি থেকে মোবাইল অপারেটরদের এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এসব কথা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, আমরা তরঙ্গ বরাদ্দ দিয়েছি। টাওয়ার শেয়ারিং নিয়ে কাজ করছি। এখন একটি কোম্পানির টাওয়ার অন্য কোম্পানি শেয়ার করতে পারবে। কলড্রপ লেস দ্যান পয়েন্ট ৫ শতাংশও আমি সহ্য করতে চাই না। কলড্রপ শূন্যে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এটি দশমিক ৫ এর নিচে রাখবই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কলড্রপের ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রথম ও দ্বিতীয়বার ৩টি পালস (৩০ সেকেন্ড) ও পরবর্তী তৃতীয় থেকে সপ্তম কলড্রপের ক্ষেত্রে আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৪টি পালস গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হবে।
এছাড়া সব মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরা অভিন্ন ইউএসএসডি কোডের (*১২১*৭৬৫#) মাধ্যমে পূর্ববর্তী দিন, সপ্তাহ, মাসিক অননেট কলড্রপের তথ্য জানতে পারবেন। এতদিন একজন গ্রাহকের কী পরিমাণ কলড্রপ হয়েছে, তা জানতে পারতেন না। এখন নির্দিষ্ট কোড ডায়াল করে তা জানা যাবে।
বিটিআরসি বলছে, এতদিন রবি ও গ্রামীণফোন ৩ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত কলড্রপে ক্ষতিপূরণ দিত। বাংলালিংক দিতো ২ নম্বর থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত।
অথচ বিটিআরসির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মে মাসে গ্রামীণফোনের একবার কলড্রপ হয়েছে ৬৮.৮৯ শতাংশ; রবির ৫৮.৬১ শতাংশ ; বাংলালিংকের ৭১.২০ শতাংশ। গড়ে সব অপারেটরের প্রথম কলড্রপ হয়েছে ৬৮.৮৪ শতাংশ। এসব কলড্রপের বিপরীতে কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি গ্রাহকরা।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং সচিব খলিলুর রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
পরিচয়/সোহেল