নিউইয়র্ক     শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউইয়র্কস্থা বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২২ | ১২:৩৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২:৩২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নিউইয়র্কস্থা বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থাপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন করেছে। এ উপলক্ষে কনস্যুলেটে দু’ পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের উপর আলোকপাত করে “The Vision of Bangabandhu in Global Context ” শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর অ্যাসেম্বলী মেম্বার ডেভিড উইপ্রিনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপস্থিাত অতিথিসহ কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়।

জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে ইতিহাসের জঘন্যতম ও কলঙ্কময় দিন হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না মন্তব্য করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়” উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন যে, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালীরই নয়, বরং তিনি বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে সকলের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্যগতিতে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কনসাল জেনারেল সকলকে যার যার অবস্থাান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুখীও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনী, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শের উপর আলোকপাত করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পরিচয়/এমউএ

শেয়ার করুন