ছাদখোলা বাসের আক্ষেপ মিটেছে সানজিদাদের। নেপাল থেকে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে দুইটায় বাংলাদেশে পা রাখে নারী ফুটবল দল। এরপর বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা।
ঐতিহাসিক সাফ জয়ের আগে নারী ফুটবলার সানজিদা আক্তারের আবেগঘন এক ফেসবুক পোস্টে ছাদখোলা বাসের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। লিখেছিলেন, ‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরও নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছুটা হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’
শিরোপা জয়ের পর কোটি সমর্থকেরও দাবি ছিল, চ্যাম্পিয়নদের যেন ছাদখোলা বাসেই বরণ করা হয়। বাফুফে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আপ্রাণ চেষ্টায় এক রাতেই দ্বিতল বাস কেটে ছাদখোলা বাস তৈরি করা হয়। সেই বাসেই বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনের দিকে এগোচ্ছেন সাবিনা খাতুনের দল।
এর আগে বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে নারী ফুটবলাদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির একটি অংশ। ঐতিহাসিক সাফ জয়ের ট্রফি দেশের মানুষকে উৎসর্গ করেছে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, এই শিরোপা দেশের সব মানুষের।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। এই ট্রফি বাংলাদেশের সব মানুষের।’ এদিকে, ছাদখোলা বাসের রুট ঠিক হয়েছে- বিমানবন্দর থেকে কাকলী, জাহাঙ্গীর গেট, পিএম অফিস, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল হয়ে বাফুফে ভবন। বাফুফে ভবনে আরেক দফা বরণ করা হবে সাবিনাদের।
পরিচয়/সোহেল