বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতে ঘুরে দাড়তে চীনের সাহায্য চেয়েছে শ্রীলঙ্কা। গতকাল সোমবার (২৫ জুলাই) রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেইজিংয়ে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত পলিথা কহোনা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই সাক্ষাৎকারে পলিথা কহোনা জানান, অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বেরিয়ে আসতে চীনের সাথে চার বিলিয়ন ডলারের একটি জরুরি প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা চলছে।শ্রীলঙ্কার বৃহৎ বৈদেশিক ঋণদাতা দেশগুলোর একটি চীন। কলম্বোর বৈদেশিক ঋণের প্রায় ১০ শতাংশ আসে বেইজিংয়ের কাছ থেকে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্যও বেইজিংয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে লঙ্কান কর্তৃপক্ষ।
পলিথা কহোনা বলেন, কলম্বোর প্রত্যাশা চীন যেন তার দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শ্রীলঙ্কা থেকে ব্ল্যাক টি, নীলকান্তমণি, মশলা ও পোশাকের মতো সামগ্রী কিনতে উৎসাহিত করে। একইসাথে আমদানির নিয়মগুলো যেন আরো স্বচ্ছ ও সহজ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার জন্য চীন সফরের পরিকল্পনা করছেন।
বিক্রমাসিংহে চীনের কাছে অপরিচিত নন। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেইজিং সফর করেন তিনি। ওই সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার করমর্দনের একটি ছবি এখনো বেইজিংয়ের লঙ্কান দূতাবাসে ঝুলতে দেখা যায়।
পলিথা কহোনা বলেন, তিনি চীনের প্রতি নতুন সরকারের নীতিতে কোনো মৌলিক পরিবর্তন আশা করেন না।