ব্যথা শরীরের যে স্থানেই হোক না কেন, ভুগতে হয় আপনাকেই। তাই কোনো ব্যথাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। অনেকেই আছেন যারা শোল্ডার পেইন বা কাঁধে ব্যথায় ভুগে থাকেন। তারা ঠিক বুঝেও উঠতে পারেন না যে কী করলে ব্যথা একটু কম হবে। ব্যথা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে বা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এর আগে ব্যথা কমানোর জন্য মেনে চলতে পারেন ঘরোয়া উপায়।
বর্তমানে আমরা বেশিরভাগই কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করি। দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে থাকা এবং কম্পিউটারের পর্দায় তাকিয়ে থাকার কারণে কাঁধে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এই কাঁধে ব্যথার সমস্যা একবার শুরু হলে তা সহ্য করা কঠিন। এর কারণে সাধারণ কাজ করাও সম্ভব হয় না অনেক সময়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁধের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া ৩টি উপায়-
আইস থেরাপি ব্যবহার করুন
কাঁধে ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে কার্যকরী একটি উপায় হতে পারে আইস থেরাপি। এই থেরাপির মাধ্যমে খুব দ্রুত এবং সহজেই ব্যথা কমে যেতে পারে। সেইসঙ্গে কমবে ফোলাভাবও। ব্যথা দূর করতে আইস থেরাপি বেশি উপকারী। জয়েন্ট কিংবা পেশি দুই স্থানের ব্যথার ক্ষেত্রেই আইস থেরাপি বেশি কার্যকরী। তবে সরাসরি বরফ দেবেন না। প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালেতে বরফের টুকরা রাখুন। এরপর তোয়ালেটি মুড়ে নিয়ে ব্যথার স্থানে মিনিট বিশেক ধরে রাখুন। এতে ব্যথা কমবে অনেকটাই।
গরম সেঁক দিন
আইস থেরাপি বেশি কার্যকরী হলো নতুন ব্যথার ক্ষেত্রে। ব্যথা পুরোনো হলে তখন আইস থেরাপির বদলে গরম সেঁক দিন। জয়েন্ট ও পেশির ব্যথা সারাতে দারুণ কার্যকরী হলো এই গরম সেঁক। আপনি কাপড় গরম করে সেঁক দিতে পারেন বা হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এতে আক্রান্ত স্থানের রক্তপ্রবাহ বাড়ে। ফলে ব্যথা কমে দ্রুত।
লবণ পানিতে গোসল করুন
ব্যথা কমানোর আরেকটি সহজ উপায় হতে পারে লবণ পানিতে গোসল। আপনার কাঁধের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে এটি কার্যকরী হতে পারে। কারণ লবণ পানিতে গোসল করলে পেশির ব্যথা অনেকটাই কমে। সেইসঙ্গে কমে ফোলাভাবও। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ পানিতে গোসল করলে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে। যে কারণে কমে ব্যথা ও ফোলাভাব। আধাঘণ্টার মতো সময় নিয়ে আপনি এই পানিতে গোসল করতে পারেন। এতে ব্যথা কমবে।