পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সমর্থন করা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বুধবার ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। অনাস্থাভোটে ক্ষমতা হারিয়ে একের পর এক বিশাল সমাবেশ করছেন ইমরান খান। পাঞ্জাবের নির্বাচনে ২০টি আসনে জয় পায় তার দল।
যাকে জনপ্রিয়তার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী যতোই তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চাচ্ছে ততোই তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।এ কারণেই ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিধায় ভুগছে সেনাবাহিনী। যদিও পুলিশ ও বিচারককে হুমকি দেয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই মামলার আসামী হিসাবে ইমরান খানকে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের একটি বিশেষ আদালতে হাজিরা দেয়ার কথা। এ সময় তাঁকে গ্রেপ্তারের গুজবও রয়েছে।সেই সঙ্গে বিচারককে হুমকি দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। যার জবাব দিতে ইমরান খানকে ৩১শে অগাস্ট হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে।
রাস্তায় ইমরানের পক্ষে যে জনসমর্থন দেখা যাচ্ছে, তাতে গ্রেপ্তার করা হলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এনিয়েই দেশটির সরকার ও সেনা প্রশাসন ভাবছে।দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মামলা দেওয়া নিয়ে কোয়ালিশন সরকারের মধ্যেই মতভেদ তৈরি হয়েছে।
আর ইমরান খান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, সেনাবাহিনীই তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে এবং সে কথা গত তিন-চার মাস ধরে জনসমক্ষে খোলাখুলি তিনি বলে বেড়াচ্ছেন।এদিকে, দেশের আর্থিক দুরবস্থার জন্য আগের প্রশাসনকে দুষছে বিশ্লেষকরা। তবে মুদ্রাস্ফীতির জন্য বর্তমান সরকারকে দায়ী করছেন ইমরান।শাহবাজ এবং ভুট্টো পরিবারের দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৮ সালে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে জনগণ।
পরিচয়/এমউএ