বিনা মূল্যে ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা দিতে আগ্রহী নন ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ইলন মাস্ক বলেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইউক্রেনে আর ইন্টারনেট সেবা দিতে আগ্রহী নয়। প্রতিষ্ঠানটি এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের কাছে অনুদান চেয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্কের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যার মাত্র কয়েক দিন আগেই ইলন মাস্ক রাশিয়া–ইউক্রেন সংকট নিরসনে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শেয়ার করা এক পোস্টে ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘স্পেসএক্স অতীতে যে সেবা দিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ বা বকেয়া চাচ্ছে না, কিন্তু বিদ্যমান ব্যবস্থা আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্যও চালিয়ে নিতে পারি না।’
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সকে প্রতি মাসে ইউক্রেনে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য অন্তত ২ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করতে হয়। সম্প্রতি মাস্ক জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা চালু করার জন্য প্রায় ৮ কোটি ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, স্পেসএক্স গত মাসে পেন্টাগনকে এক চিঠি পাঠিয়ে বলেছে, তারা ইউক্রেনের স্টারলিংক পরিষেবায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য চালিয়ে যেতে পারে না। মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রতি মাসে কয়েক মিলিয়ন ডলার সাহায্য না করলে তাদের ইউক্রেনে সেবা দেওয়া বন্ধ করতে হতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হলে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালু করেছিল।
পরিচয়/সোহেল