মস্কো : ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চলে রাশিয়া গণভোট করেছে সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ জন্য মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে করা হয় জমকালো আয়োজন। সেখানেই জাতীর উদ্দেশে ভাষণ দেন পুতিন। বলনে, নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া নিজেদের ভূমি রক্ষায় সব ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এসময় ইউক্রেনে অবস্থানরত রুশ সেনাদের প্রকৃত হিরো বলে অভিহিত করেন পুতিন। দীর্ঘ ভাষণে, যুক্তাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নানা সমালোচনা করেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার নতুন চারটি অঞ্চলকে পুনর্গঠন করা হবে। শহরগুলোর উন্নয়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, রাশিয়াকে দুর্বল অবস্থায় দেখতে চেয়েছিলো পশ্চিমারা। কিন্তু সেনাদের সাহসী পদক্ষেপের কারণে চারটি এলাকাকে রুশ ফেডারেশনের সাথে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, খেরসন, জাপোরিঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন এবং তাদের মিত্ররা।
এর আগে গত ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর দখলকৃত ইউক্রেনের চার অঞ্চলে গণভোট গ্রহণ করা হয়। এতে বিপুল জয় পাওয়ার দাবি করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, চার অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তবে, এ ভোট কার্যক্রম এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।
জাতিসংঘ বলছে, আধুনিক বিশ্বে এমন ভোট এবং দখলদারিত্ব কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কখনও রাশিয়ার দখলকে স্বীকৃতি দেবে না।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, একইভাবে, একই পদ্ধতিতে ২০১৪ সালে গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল।
ইউক্রেন চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে কৌশলগতভাবে যুদ্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট সফল হয়েছেন বলেও মনে করছেন অনেকে। বলা হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ খেরসন, জাপোরিঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এই চারটি শহর ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ।
পরিচয়/টিএ