যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য অনেক জনসমাগমের স্থান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আইন পাস করেছে। অঙ্গরাজ্যটির বিভিন্ন অস্ত্রসংক্রান্ত বিধি-নিষেধ বাতিল করে গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটি ঘটল।
নতুন বিধি অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র ক্রেতাদের প্রমাণ করতে হবে, তারা বন্দুক ব্যবহার করতে পারে। পর্যালোচনার জন্য তাদের সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিশদও জমা দিতে হবে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এসব বিধি-নিষেধ শেষ পর্যন্ত নতুন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের গত মাসের রায় বস্তুত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার আরো সম্প্রসারিত করেছে। এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বিষয়ে এটি ছিল মার্কিন শীর্ষ আদালতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায়।
১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নিউ ইয়র্কের নতুন আইনে বলা হয়েছে―
১. নিউ ইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ারসহ ‘সংবেদনশীল স্থানে’ আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এ ছাড়াও স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি দপ্তর, গণপ্রতিবাদের স্থান, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, উপাসনালয়, পাঠাগার, খেলার মাঠ, পার্ক, বার, থিয়েটার, স্টেডিয়াম, জাদুঘর, ভোটদানের স্থান এবং ক্যাসিনো এর আওতায় পড়বে।
২. মালিকরা ‘বন্দুকে অসুবিধা নেই’ এ কথা সাইনে লিখে না রাখলে কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
৩. যারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করছেন তাদের চারজনের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদ দিতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং তা ব্যবহারের অনুশীলন করতে হবে, মাঝে মাঝে বিগত দিনের কার্যকলাপ যাচাই করা হবে এবং স্বামী/স্ত্রী/সঙ্গী বা পরিবারে বসবাসকারী অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য দিতে হবে।
৪. আবেদনকারীদের গত তিন বছরে ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোর তালিকা জমা দিতে হবে।
সূত্র : বিবিসি